বিশেষ প্রতিনিধি:

দীর্ঘ ২মাস অতিবাহিত হতে চলেছে, আলোচিত হ্নীলার রঙ্গীখালী শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীর মামলা অগ্রগতির ও সাফল্যের মুখ দেখছেনা এলাকাবাসী। অথচঃ এর সাথে জড়িত এবং মামলার পলাতক আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে দাপটের সাথে চলছে। পুলিশ বলছে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গত ১১ মে/১৭ হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী জামাল মেম্বারের মরিচ ক্ষেত থেকে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশের অভিযানে ১লাখ ৪০ হাজার ইয়াবার বড় চালান জব্দ করে। এস,আই মফিজুর রহমান নিজে বাদী হয়ে জামাল মেম্বারের দুইপুত্র শাহ আজম (৪০) ও শাহ নেওয়াজ (২৭) কে পলাতক আসামী দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট ধারায় মাদক আইনে একটি মামলা রুজু করে। মামলা রুজু হবার পর থেকে জামাল মেম্বারের একটি মহল মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে মামলার ২ পলাতক আসামীদের আইনের ফাঁক ফোকর এবং মামলার চার্জশীট থেকে বাদ দিতে মোটা অংকের মিশন নিয়ে তদবীর চালিয়ে যাচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এলাকার জনশ্রুতি অনুযায়ী এরা রঙ্গীখালী এলাকার শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী এবং কালোটাকার পেশিশক্তির মালিক। ওদের অপকর্ম প্রকাশ বা প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না অনেকে। ফলে রঙ্গীখালী এলাকার স্বাভাবিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতি আজ হুমকি স্বরূপ। গত ১৪ জুলাই রাত ৮টার দিকে ইয়াবার দুই পলাতক আসামীরা রাস্তায় পাগলা ঘোড়ার ন্যায়, মোটর সাইকেল চালাতে গিয়ে এলাকার লোকজন বারণ করলে, এর প্রতিশোধে ওরা অবৈধ অস্ত্র বাড়ী থেকে এনে এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েক করে। এ নিয়ে এলাকাবাসীরা আতংকের মধ্যে ভোগছেন। মামলার অগ্রগতি এবং পলাতক আসামীরা কেন? ধরা পড়ছেনা,

এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার (ও’সি) তদন্ত শেখ আশরাফুজ্জামান বলেন, স্বাক্ষীপ্রমান দীর্ঘ সূত্রিতার কারণে মামলাটি তদন্তে বিলম্ব ঘটছে। তবে আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে চেষ্টা চলছে।